প্রিয়নবীকে (দরুদ) সালাম দেওয়ার গুরুত্ব
প্রিয় নবীকে সালাম দেওয়ার গুরুত্ব:
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে দরুদ বসে দেয়া যায় এবং দাঁড়িয়েও দেওয়া যায়। তবে যখনই তাঁকে লক্ষ্য করে সরাসরি সালাম দেওয়া হয় তখন দাঁড়িয়ে সালাম দেওয়ায় আদব এবং মুস্তাহসান বা উত্তম কাজ। তাঁকে সালাম দেওয়া অতীব সাওয়াবের কাজ। জীবনে একবার সালাম দেওয়া ফরজ। যেহেতু আল্লাহ্ তা'আলা سلموا শব্দ, امر এর صيغة ব্যবহার করেছেন।
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে সালাম দেওয়া দাস-দাসী মুক্ত করার চেয়ে উত্তম। তাঁকে সালাম দেওয়ার মাধ্যমে গুনাহ মুক্ত হওয়া যায়। যেমন হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন:
الصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم امحق للذنوب من الماء البارد للنار والسلام عليه افضل من عتق الرقاب.
অর্থ: রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের উপর দরুদ পড়ার ফলে গুনাহ এমনভাবে মিটিয়ে দেওয়া হয় যেভাবে ঠান্ডা পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়।(সুবহানআল্লাহ) তাঁর প্রতি সালাম পেশ করা দাস-দাসী মুক্ত করার চেয়ে উত্তম। (শিফা, কাজী আয়ায-২/৬১)।
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন:
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما من مسلم يسلم علي في شرق ولا غرب الا انا و ملاءكة ربى يرد عليه السلام
অর্থ: রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- যে কোন মুসলমান প্রাচ্য বা পাশ্চাত্য থেকে আমার উপর সালাম পেশ করে আমি এবং আমার পরওয়ারদিগারের ফেরেশতাকুল তার সালামের জবাব দেন। (জালাউল আফহাম, ইবনুল কাইয়ূম জাওযী-২৫)।
সালাত ও সালাম একজন মু'মিনের ইমানকে বলিষ্ঠ করার সবচেয়ে বড় উপাদান। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে চোখে দেখার বড় হাতিয়ার। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের রওজা মোবারাকে গিয়ে দাঁড়িয়ে সালাম দেওয়া সুন্নত ও আদব।
মিলাদ শরীফে ক্বিয়াম বা দাঁড়িয়ে সালাম দেওয়া ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত নয় বরং ভক্তি, শ্রদ্ধা, তা'যিম করে মোহাব্বত সৃষ্টির জন্য যদি ক্বিয়াম বা দাঁড়িয়ে সালাম পেশ করে তাতে ইমান সতেজ হয়, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের মুহাব্বত অন্তরে জেগে উঠে, এতেও ফায়দা আছে। তাই এটি মুস্তাহাব বা মুস্তাহসান। মিলাদ-ক্বিয়াম সালাম পেশ করার একটি প্রক্রিয়া।
আশরাফী টিভি ডটকম ২৫/১০/২০২৪
No comments
Thanks for comment